কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা থেকে অপহরণ হওয়া মাদ্রাসার ছাত্র শিশু সোয়াদের খোঁজ পাঁচ দিনেও মিলেনি। শিশু সোয়াদকে অপহরণে ব্যবহৃত অটোরিকশা সিএনজি, চালক ও তিন নারীসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার বিকালে গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানিয়েছেন টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি।
গ্রেপ্তাররা হলেন, টেকনাফের মোচনী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা মোহাম্মদ খানের স্ত্রী উম্মে সালমা (২৪), একই ক্যাম্পের বাসিন্দা লায়লা বেগম, কোবরা বেগম, মোহাম্মদ হাশেম এবং অটোরিকশা সিএনজি চালক নাছির উদ্দিন (২৬)।
এদিকে, শিশুটিকে ছেড়ে দিতে অপহরণকারীরা ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে বলে তার মা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
শিশু সোয়াদের মা বলেন, কারা কী কারণে আমার সন্তানকে অপহরণ করেছে তা জানি না। তবে, মঙ্গলবার রাতে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তি মোবাইলে কল করে আমার সন্তানকে ফিরিয়ে দিতে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছেন। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে বলে জানায়।
স্বজনদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গত শনিবার দুপুরে মাদ্ররাসা থেকে ফেরার পথে অপহরণের শিকার হন শিশু সোয়াদ( ৬)। অপহৃত শিশু সোয়াদ টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের পূর্ব পানখালী এলাকার। সে একই এলাকার আবু হুরাইরা (রা.) মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির ছাত্র।
ঘটনার দিন সন্ধ্যায় শিশু সোয়াদের মা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দেন। অভিযোগের প্রাথমিক তদন্তের পর গত রোববার মামলাটি নথিভুক্ত হয় বলে জানান ওসি ওসমান গনি।
তিনি আরও জানান, মামলার পর থেকে পুলিশ ঘটনাস্থল ও আশপাশের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করার পাশাপাশি গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান আছে। এক পর্যায়ে পুলিশ সিসিটিভির ফুটেজ দেখে অপহরণে ব্যবহৃত অটোরিকশা সিএনজি গাড়িটি চিহ্নিত করেন। পরে গত রোববার সন্ধ্যায় কক্সবাজার শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে অটোরিকশা সিএনজি সহ চালক নাছির উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়।
সিসিটিভি ফুটেজ ও গ্রেফতার নাছিরের তথ্যেমতে গত মঙ্গলবার টেকনাফ উপজেলার মোচনী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আরও চারজনকে গ্রেফতার করা হয়।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি জানান, গ্রেপ্তারদের মধ্যে উম্মে সালমা এ ঘটনায় জড়িত থাকার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।