1. dailyamarkothabd@gmail.com : admin :
  2. hmhabibullah2000@gmail.com : Habib :
  3. sabbirmamun402@gmail.com : Sabbir :
মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:১০ পূর্বাহ্ন
মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:১০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) এর আদর্শে দেশ গড়তে চান – জামাতে ইসলামী মীর নোয়াবুল হক মেমোরিয়াল হাইস্কুলে পবিত্র মিলাদুন্নবী (সা:) উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।   রূপগঞ্জে বিসমিল্লাহ আড়তের দখল ও প্রদানকৃত টাকা ফেরতের দাবিতে মানববন্ধন কাওয়ালী অনুষ্ঠান থেকে কবি নজরুলকে জাতীয় কবির আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি আসুন আমরা সবাই মিলে সুন্দর মুন্সীগঞ্জ গড়ে তুলি  জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:): মুন্সীগঞ্জে জশনে জুলুস অনুষ্ঠিত  নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুমন শেখ হলেনসোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক গাজীপুরে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ৫ জনের মধ্যে ৩ জনই নরসিংদীর  শেখ হাসিনা কি সত্যি পদত্যাগ করেছিলেন নবগঠিত কমিটিকে স্বাগতম জানিয়ে ধুনট উপজেলা ছাত্রদলের আনন্দ মিছিল                                         

হতাশার মাঝেও সু-দিনের স্বপ্ন বুনছে মৃৎশিল্পী কার্তিক পাল

মুঞ্জুরুল হক, ধুনট, (বগুড়া) প্রতিনিধি:
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২২ মে, ২০২৪

আধুনিক জিনিসপত্রের ভিড়ে মাটির দাম বৃদ্ধিসহ নানা সংকট এ শিল্প হারিয়ে যেতে বসেছে বলে জানান মৃৎশিল্পীরা। হাজার বছরের ঐতিহ্য বহনকারী মাটির তৈরি সামগ্রীর চাহিদা কমতে থাকায় প্রাচীনকাল থেকে বংশানুক্রমে গড়ে ওঠা গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প আজ হারিয়ে যাওয়ার পথে।
বগুড়ার ধুনটে মৃৎশিল্পীদের আগে যে ব্যস্ততা দেখা যেতো, সেই আগের মতো এখন আর ব্যস্ততা নেই মৃৎশিল্পীদের। সারি সারি মাটির তৈজসপত্র এখন তেমন নজরে পড়ে না। মাটির জিনিসপত্রের চাহিদা আগের মত না থাকায় এর স্থান দখল করে নিয়েছে দস্তা, অ্যালুমিনিয়াম ও প্লাস্টিকের তৈজসপত্র। তাই আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাওয়ার পথে ঐতিহ্যবাহী এই মৃৎশিল্প।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মৃৎশিল্পীরা কয়েকটি পরিবার এখন বাপ-দাদার এই শিল্পকে টিকিয়ে রেখেছেন। কেউ দধির পাতিল তৈরি করছেন। কেউ হাঁড়ি পাতিল পোড়ানোর চুলায় কাজ করছেন। আর দধির পাতিল রোদে শুকানো হচ্ছে। নারী ও পুরুষ উভয়ে কাজ করেন। আগের মতো যে ব্যস্ততা আর নেই। মৃৎশিল্পীরা কয়েকটি পরিবার এখন বাপ-দাদার এই শিল্পকে টিকিয়ে রেখেছেন।

বিজ্ঞাপন

মৃৎশিল্পী হরিপাল বলেন, মাটির তৈজসপত্র বেচাকিনা বন্ধ হয়ে গেছে। দস্তা, অ্যালুমিনিয়াম ও প্লাস্টিকের তৈজসপত্র বের হওয়ায় মাটির তৈজসপত্র আর চলে না। মাটির তৈজসপত্র আগে ভালোই চলতো। সেই ভোরে ঘুম থেকে উঠে কাজ করতাম। সারাদিন কাজ করতাম, হাট-বাজারে যেতাম দুই-চার হাজার টাকা বিক্রি করতাম। এখন আর আগের মতো বেচা কিনা নেই। দস্তা, অ্যালুমিনিয়াম ও প্লাস্টিকের তৈজসপত্র হয়ে মাটির তৈজসপত্র প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। দধির পাতিল আর টয়লেটের পাট এখন একটু চলে। দধির পাতিল ও টয়লেটের পাট যদি বন্ধ হয় আমরা কেমনে চলবো। আমাদের সংসার চালানো কষ্ট হয়ে যাবে। আমাদের হাঁড়ি পাতিল আর চলে না। ছোট বেলায় বাপ দাদার সাথে কাজ করছি। তখন মাটির জিনিস খুব ব্যবহার হতো। দস্তা, অ্যালুমিনিয়াম ও প্লাস্টিকের জিনিস বের হয়েছে এখন মাটির জিনিস চলে না। এই কাজের সাথে যারা আমরা রয়েছে তাদের চলা খুবই কষ্ট। মৃৎশিল্পী রাজা বলেন, আধুনিক জিনিস বের হয়েছে। যার ফলে মাটির জিনিস কেউ আর ব্যবহার করতে চাই না। অল্প সংখ্যক পরিবার এখন মৃৎশিল্প টিকিয়ে রেখেছে। এখন সবাই দস্তা, অ্যালুমিনিয়াম ও প্লাস্টিকের তৈজসপত্র ব্যবহার করে। মাটির হাঁড়ি পাতিল আর এখন চলে না। মৃৎশিল্পীদের ছেলেরা বিভিন্ন কাজ করছে। প্লাস্টিকের তৈজসপত্র বের হওয়ায় মাটির তৈজসপত্র আর চলে না।

উল্লেখ্য, মৃৎশিল্পীরা শুধুমাত্র নিজের পরিশ্রমের মাধ্যমে শুকনা খড়, লাকড়ি, মাটি, বালি ও পানির সাহায্যে তৈরি করতেন দধির পাত্র, পিঠাখোলা, ভাতের পাতিল, পাতিলের ঢাকনা, তরকারি কড়াই, রসের হাড়ি, ধুপ জ্বালানি পাত্র, মুড়ির পাতিল, বাতি জ্বালানি পাত্র, জলকান্দা শিশুদের জন্য বিভিন্ন রকমের মাটির তৈরি খেলনা। এত হতাশার মধ্যেও বৃদ্ধ মৃৎশিল্পী কার্তিক পাল স্বপ্ন দেখেন কোনো একদিন হয়তো আবারও কদর বাড়বে মাটির পণ্যের। সারাদেশে আবারও ফিরে আসবে মৃৎশিল্পের সুদিন। সেই সুদিন ফিরিয়ে আনতে এবং মৃৎশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে এর বাজার সৃষ্টি এবং প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতার কথাও বললেন তিনি। সবশেষ বললেন, ‘যতদিন বাঁচবো এ মাটিকে আঁকড়ে ধরেই বাঁচতে চাই।

Facebook Comments Box

Please Share This Post in Your Social Media

এ জাতীয় আরও খবর